প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স কার্ডের ৫টি সুবিধা-২০২৪

প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স কার্ডের ৫টি সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। বর্তমান সরকার ডক্টর ইউনুস প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্স কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে রেমিটেন্স কার্ড নিবেন এবং এই রেমিটেন্স কার্ডের ভিতরে কি কি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ইত্যাদি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স কার্ডের ৫টি সুবিধা সম্পর্কে। 

 

প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স কার্ডের ৫টি সুবিধা

প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স কার্ডের ৫টি সুবিধা প্রদান করছে বর্তমান সরকার। বর্তমান সময়ে ডক্টর ইউনুস সরকার হওয়ার পরে দেশের বাহির প্রবাসীরা দেশে প্রচুর পরিমাণে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। ধারনা করা যায় গতমাসে প্রবাস থেকে বাংলাদেশে 222 মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স ডুকছে। এই রেমিটেন্স দেশকে অনেকটাই অর্থনৌতিক ভাবে সাহায্য করে।

তাছাড়াও বর্তমান সরকার ডক্টর ইউনুস বলেছেন আমরা প্রবাসীদের টাকায় টিকে আছি এবং আমরা প্রবাসীদের টাকায় চলি। যার কারনে তিনি প্রবাসীদের জন্য যথাযথ সম্মান এবং সুযোগ- সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। তাই তিনি প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্স কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়াও এই রেমিটেন্স কার্ড দেওয়ার পিছনের সরকারের দুটি লাভ রয়েছে। যেমন:

  1. দেশের লাভের জন্য এবং 
  2. প্রবাসীদের লাভের জন্য 

বর্তমান সরকার দেশের কল্যাণে জন্য এবং প্রবাসীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাতে করে দেশের এবং প্রবাসীদের লাভ হয়। একজন রেমিটেন্স যোদ্ধাকে সবোর্চ্চ সম্মান প্রদান করতে এবং সবোর্চ্চ সুযোগ সুবিধা দিতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই রেমিটেন্স কার্ড থেকে প্রবাসীরা যে ৫টি সুযোগ-সুবিধা পাবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো: 

 

প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স কার্ডের ৫টি সুবিধা

Number 01: 5% প্রণোদন 

আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন বর্তমান সময়ে 2.5% প্রণোদনা চলছে। অর্থাৎ, আপনি যদি প্রবাস থেকে বৈধ ভাবে 1 লক্ষ টাকা বাংলাদেশে প্রেরণ করেন। তাহলে আপনাকে সরকারী ভাবে ব্যাংক থেকে 2,500 টাকা বেশি দেওয়া হবে।

তাছাড়াও এই রেমিটেন্স কার্ড হাতে পাওয়ার পরে সেই রেমিটেন্স কার্ড ব্যবহার করে আপনি যদি টাকা প্রেরণ করেন। তাহলে আপনি 5% প্রণোদনা পাবেন। অর্থাৎ, আপনি যদি 1 লক্ষ টাকা দেশে পাঠান। তাহলে আপনাকে 1 লক্ষ 5 হাজার টাকা দেওয়া হবে।

 

Number 02: এয়ারপোর্ট ফ্যাসিলিটি

তাছাড়াও এয়ারপোর্টে নানা ধরনের ফ্যাসিলিটি রয়েছে। যেমন: টেলিফোন, বুথ ইত্যাদি। এখন আপনি যদি এয়ারপোর্ট থেকে কোন ধরনের ফেসিলিটি নিতে চান। তাহলে আপনাকে রেমিটেন্স কার্ড পাঞ্চ করতে হবে। এখন আপনি যদি রেমিটেন্স কার্ড পাঞ্চ করেন। তাহলে আপনার জন্য ফ্রি লাঞ্চ, ফ্রি টেলিফোন, ফ্রি রেস্ট রুম ইত্যাদি থাকবে। আপনার জন্য সর্বোচ্চ ফ্রি সেবা নিশ্চিত থাকবে।

 

প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স কার্ডের ৫টি সুবিধাNumber 03: ব্যাংকিং খাতে সুযোগ-সুবিধা

রেমিটেন্স কার্ডের ব্যবহারে ব্যাংকিং খাতে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তাছাড়াও ব্যাংকিং খাতে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম হলো: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে এই রেমিটেন্স কার্ড অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে। 

আরোও পড়ুন: মোবাইলে ফ্রিতে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম।

সাধারণত আগে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য মাসের পর মাস ঘুরতে হয়েছে। এখন আপনি এই রেমিটেন্স কার্ডের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজেই সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন লোন নিতে পারবেন। কোন প্রকারের জামানত ছাড়াই। 

 

Number 04: চিকিৎসা ভাতা

বর্তমান সময়ে রেমিটেন্স কার্ডটি প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই রেমিট্যান্স কার্ডটি ব্যবহার করে প্রবাসীরা বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। তাছাড়াও রেমিটেন্স কার্ডের আরোও একটি সুবিধা রয়েছে সেটি হলো: 

প্রবাসীদের জন্য চিকিৎসা ভাতা। আপনাদের ভিতরে যারা প্রবাসী রয়েছেন। অর্থাৎ, সৌদি আরব আমিরাত, ওমান, চীন, মালয়েশিয়া, জাপান ইত্যাদি দেশে রয়েছেন। 

এখন আপনারা যদি ওয়ার্কিং ভিসা নিয়ে থাকেন। তাহলে আপনার চিকিৎস খরচ দূতাবাস থেকে অর্ধেক বহন করা হবে এবং বাকি অর্ধেক আপনাকে বহন করতে হবে। রেমিটেন্স কার্ডের মাধ্যমে এমন একটি সেবা চালু করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করছে বর্তমান সরকার। 

 

প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স কার্ডের ৫টি সুবিধা

Number 05: প্রবাসী ফ্যামিলির নিরাপত্তা

এই রেমিটেন্স কার্ডের মাধ্যমে আপনি আরোও একটি সুবিধা পাবেন। সেটি হলো: প্রবাসী ফ্যামিলির নিরাপত্তা। এর আগে নয় দফা দাবিতে জানানো হয়েছিল। আর এই নয় দফা দাবির মধ্যে চূড়ান্ত একটি দাবি ছিল সেটি হলো: প্রবাসী ফ্যামিলির নিরাপত্তা।

সাধারণত, প্রবাসীদের ফ্যামিলিরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তাদের জমি জমা আত্মসাৎ করা হয় এবং তাদের অভিবাক না থাকার কারণে তাঁরা অভিবাকহীনতায় ভূগে।

তাছাড়াও প্রবাসীদের ফ্যামিলিদেরকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যার কারনে প্রবাসীরা সরকারের কাছে একটি দাবি জানিয়েছেন। এখন এই রেমিটেন্স কার্ডের মাধ্যমে সেই দাবিটি ও সরকার পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন যে প্রবাসী রেমিটেন্স কার্ডটি পাবে। সেই প্রবাসীর ফ্যামিলিকে এক্সট্রা নিরাপত্তা দেওয়া হবে এবং তাদের জন্য আলাদা কিছু ফ্যাসিলিটি চালু করা হবে। 

এখন প্রবাসীদের ফ্যামিলির জন্য কি কি ফ্যাসালিটি রয়েছে। সেটি এখনো সরকার থেকে ভালোভাবে জানানো হয়নি। যখনই আপনি রেমিটেন্স কার্ডটি আপনার হাতে পেয়ে যাবেন তখন সেই রেমিটেন্স কার্ডের ফেসালিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বিশেষজ্ঞরা রেমিটেন্স কার্ড সম্পর্কে সরকারকে ধারণা দিয়েছে এবং সরকার সেই ধারণাটি গ্রহণ করেছে। তাছাড়াও সরকার এই বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছে।

তাছাড়াও এই রেমিটেন্স কার্ড দেওয়ার পিছনের সরকারের দুটি লাভ রয়েছে। যেমন: দেশের লাভ এবং প্রবাসীদের লাভ। প্রথমত, দেশের লাভ হলো: বর্তমান সময়ে প্রবাস থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানো হচ্ছে। এখন এই রেমিটেন্সটি বৃদ্ধি করার জন্য এবং রেমিটেন্সটি যেন কমে না যায় সেজন্য সরকার এই রেমিটেন্স কার্ড তৈরির ব্যবস্থা করছে।

আর দ্বিতীয় ফ্যাসিলিটি হলো: প্রবাসীদেরও বিভিন্ন ধরনের ফ্যাসিলিটি দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে দেশের এবং প্রবাসীদের উভয়ের সুযোগ সুবিধার জন্য বর্তমান সরকার ডক্টর ইউনুস এই সিদ্ধান্ত প্রকল্প গ্রহণ করেছে। 

আশা করি, আর্টিকেলটি পরে আপনি প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্স কার্ডের ৫ সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কিন্তু কিভাবে এই রেমিটেন্স কার্ড পাবেন এবং রেমিটেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করবেন। বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকুন। সরকার কর্তৃক এই কার্ডটি অনুমোদন হওয়ার সাথে সাথে আমরা সেই বিষয়ে একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই সে পর্যন্ত বঙ্গদেশ২৪ ডট কম ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

ধন্যবাদান্ত: বঙ্গভাষা ডট কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *