আজকের পেঁয়াজের দাম জানুন? ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ দাম ২০২৪

আজকের পেঁয়াজের দাম কত? ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ দাম কত? কবে থেকে পেঁয়াজের দাম কমবে? পেঁয়াজের দাম কোন মাসে বেশি হয়? বাসায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। 

 

আজকের পেঁয়াজের দাম কত

পেঁয়াজ একটি নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। আমাদের প্রতিদিনকার প্রায় সকল তরকারির সাথে পেঁয়াজ ছাড়া চলে না। সম্ভবত দেশে বর্তমানে এমন কোন পরিবার নেই যে, দিনে অন্তত একটি পেঁয়াজ খান না।

দেশে পেঁয়াজের এমন চাহিদা থাকলেও দাম কমানোর কোন নাম গন্ধ মিলছে না। তবে হঠাৎ শেখ হাসিনার পতন ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণের পর। সোশ্যাল মিডিয়া সহ প্রায় বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজের সাথে সাথে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দাম কমতে শুরু করছে। এমন খবর প্রায়শই শোনা যায়। কিন্তু আসলেই কি পেঁয়াজের দাম কেমেছে? বা আজকের পেঁয়াজের দাম কত? চলুন জেনে নেয়া যাক।

আরোও পড়ুন: বাংলাদেশে আজকে এলপিজি গ্যাসের দাম কত। 

Jamuna TV প্রতিবেদন সুত্রে জানা গেছে। গত ৫ আগস্ট কোটা সংস্কারণ আন্দোলনের প্রখর চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্টুডেন্টদের তদারকিতে দেশের অনেকাংশে সিন্ডিকেট হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যার ইতিবাচক প্রভাব পেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মার্কেটেও। আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দফায় দফায় চলত চাঁদাবাজি। যার ফল পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হতো বিক্রেতারা। কিন্তু গত কয়েক দিনে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায়। দাম কমেছে অনেক পণ্যের। যেমন: 

কিছুদিন আগেও ১ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলেন পণ্যের আমদানি ভালো হলে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ হলে এই দাম আরোও অনেকটা কমে যাবে। 

এছাড়াও RTV আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়। পথে এবং বাজারে চাঁদাবাজি না থাকায় পেঁয়াজ আলুসহ কমচে নিত্য পণ্যের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায় সবজি থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যে দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্যবসায়ীরা জানান জায়গাই জাগায়গাই চাঁদাবাজি ও যেখানে পণ্য নামে সেখানে চাঁদাবাজি এবং যেখানে বিক্রি হয় সেখানে দিনে কয়েক ধাপে চাঁদা দিতে হয় ৪০০ থেকে আরোও বেশি। 

যে টাকা তুলতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে নেওয়া হয় ক্রেতাদের কাছ থেকে। এখন এসব চাঁদাবাজি না হওয়ায় দাম কমেছে সকল পণ্যের। শিক্ষার্থীরাও বাজারে গিয়ে কাউকে চাঁদা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যবসায় খাতে এমন চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে নিত্য পণ্যের দাম আরো কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। 

বর্তমানে দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কত

রাজশাহী: রাজশাহীতে ১৫ টাকা কমে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। প্রতিকেজি আদা ২২০ ও রসুন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগীর দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কমেছে সব ধরনের মাছের দামও। 

ঢাকা: এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি পণ্যের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি ছিল। মঙ্গলবার রাজধানীর বাজার গুলোতে বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতিকেজি পেঁপের দাম ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা। এছাড়াও বাজার বেদে কমছে গরুর মাংসের দামও যেমন: হাতিরপুল বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা এবং পলাশি বাজারে প্রতিকেজি গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। তবে খাসির দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *