ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। আপনাদের ভিতরে অনেকেই আছেন যারা টাকার অভাবে বিদেশে পাড়ি দিতে যেতে পারছেন না। তাঁরা চাইলেই খুব সহজে হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংকে প্রবাসী কল্যাণ লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরোও পড়ুন: মোবাইলে ছোট ছোট কাজ করে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করুন।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের সহজ শর্তে প্রবাসীদের লোন প্রদান করে থাকে। যেখানে প্রবাসীদের অন্যান্য ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। সেখানে ইসলামী ব্যাংক সহজ শর্তে, প্রবাসীদের লোন প্রদান করে থাকছে এবং ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের লোন প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
ইসলামী ব্যাংকের লোন প্রদান করার প্রধান ভূমিকা হলো: যারা টাকার অভাবে বিদেশ যেতে পারছেন না। তাঁরা চাইলেই খুব সহজেই এই ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং বিদেশে পাড়ি জমাতে পারবেন।
আরোও পড়ুন: কাগজপত্র ছাড়াই ঋণ App থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন নিন।
আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে একজন প্রবাসীর ভিসা হওয়ার পরে ইসলামী ব্যাংক থেকে লোনের জন্য আবেদন করবেন এবং প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে।
তাছাড়াও প্রবাসীর লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ কত টাকা ও সর্বনিম্ম কত টাকা পর্যন্ত লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের ইন্টারেস্ট কত হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে হয়।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংকের প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য প্রথমত আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। অন্যথায়, আপনি ইসলামী ব্যাংকের প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
তাছাড়াও Islami bank probashi loan নেওয়ার জন্য আপনার প্রবাসী ভিসা সঠিক হয়েছে কিনা সেই তথ্যটি ইসলামী ব্যাংকে নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ, আপনাকে যখন প্রবাসী যাওয়ার জন্য ভিসা দেওয়া হবে। তখন সেই ভিসার ফটোকপি দিয়ে আপনি ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে হবে।
আরোও পড়ুন: মোবাইলে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করুন।
যখন আপনি আপনার প্রবাসী যাওয়ার জন্য ভিসাটি হাতে পেয়ে যাবেন। তখন আপনার ভিসার ফটোকপি ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংকের প্রবাসী লোন সম্পর্কিত ফর্মটি পূরণ করে এবং সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো ফিলাপ করে। আপনার নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংকে জমা করতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই Islami bank probashi loan পেয়ে যাবেন।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে
Islami bank probashi loan নেওয়ার জন্য যে যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো:
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট অথবা ভিসার ফটোকপি।
- আবেদনকারীর NID Card/ জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি।
- তাছাড়াও Islami bank probashi loan নেওয়ার জন্য একজন নমিনির প্রয়োজন হবে এবং
- নমিনির NID Card/ জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্ট গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী কল্যাণ লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়াও ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী কল্যাণ লোনের আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে।
অর্থাৎ, আবেদনকারীর ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টের স্টেটমেন্ট ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নেওয়ার সময় আবেদন ফরমের সাথে জমা করতে হবে।
এখন উপরে উল্লিখিত সকল ডকুমেন্টগুলো আপনাকে একসাথে সংযুক্ত করে ইসলামিক ব্যাংক প্রবাসী লোন ব্যাংকে জমা করতে হবে। তাহলে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আপনার তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করা হবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আপনাকে লোন প্রদান করা হবে কিনা।
যখনই আপনি ডকুমেন্টগুলো জমা দিবেন। তার কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন হয়েছে কিনা সেটা জানতে পারবেন। অর্থাৎ, ইসলামী ব্যাংক যদি মনে করে আপনাকে প্রবাসী লোন দিবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই এই প্রবাসী লোনটি নিতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের পরিমাণ
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা এবং সর্বনিম্ন কত টাকা লোন প্রদান করে থাকে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো:
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে এবং
- সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে।
অর্থাৎ আপনি ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ এবং সর্বনিম্ন ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংক কাস্টমারের প্রকার ভেদে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তারা কাস্টমারকে কত টাকা লোন প্রদান করবে।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের সুদের হার
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে 7.5% সুদ নিয়ে থাকে। অর্থাৎ, 7.5% মুনাফা ইসলামী ব্যাংক এই লোনের পরিবর্তে নিয়ে থাকে। এখানে আপনি যত টাকায় নেন না কেন, আপনার টাকার পরিমান অনুযায়ী 7.5% ইন্টারেস্ট প্রদান করতে হবে।
আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে খুব সহজেই ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের আবেদন করতে হয়। এই লোনের আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে এবং ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা ও সর্বনিম্ন কত টাকা প্রদান করে ইত্যাদি।
এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট যেমন: ব্যাংক, বিমা, লোন, ইন্সুরেন্স সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন বঙ্গদেশ২৪ ওয়েবসাইটে।
I hi bro please can you Help me i need a some borrow me money
আমি একটা প্রবাসী লোন নিতে চাই সৌদি আরব যাওয়ার জন্য
[…] […]