স্টুডেন্ট লাইফে টাকা কামানোর ১৫ টি উপায় ২০২৫

স্টুডেন্ট লাইফে টাকা কামানোর ১৫ টি উপায় সম্পর্কে জানুন আজকের পোস্টে। স্টুডেন্ট লাইফে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা কামানো যায়। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইন অথবা অফলাইনে কাজ করে স্টুডেন্ট লাইফে টাকা কামাতে পারবেন।

এই পোস্টে আমরা স্টুডেন্ট লাইফে টাকা কামানোর সেরা ১৫ ‌অনলাইন ও অফলাইন কাজ সম্পর্কে আলোচনা করব। যেগুলোর যেকোনো একটি অনুসরণ করে আপনি স্টুডেন্ট লাইফে টাকা কামাতে পারবেন।

মাইক্রো জব করে স্টুডেন্ট লাইফে টাকা ইনকাম

আপনি যদি মোবাইলে ছোট ছোট কাজ করে। স্টুডেন্ট লাইফে মাসে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনি মাইক্রো জব সাইটে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে দেশ ও দেশের বাইরের এমন অনেক জনপ্রিয় মাইক্রো জব অ্যাপ ও ওয়েবসাইট রয়েছ যেখানে আপনি ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। তারমধ্যে জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট হলো: Microworker, Workupjob, jobboy ইত্যাদি। সাধারণত এ ধরনের সাইটে যে ধরনের কাজগুলো পাওয়া যায় তাহলো:

  • ইউটিউব ভিডিও দেখা
  • ফেসবুক ভিডিও দেখা
  • ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা
  • ফেসবুক পেজ ফলো করা
  • জিমেইল একাউন্ট খোলা
  • রেলস্টেশন বা সাইন আপ করা
  • অ্যাপস ডাউনলোড করা
  • রেফার করা
  • শেয়ার করা
  • কমেন্ট করা
  • রিভিউ লেখা ইত্যাদি।

উপরোক্ত কাজগুলো করে আপনি স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই বলে থাকবে এসব কাজ করে আপনি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। মূলত মাইক্রো জব সাইট গুলো হল খুবই সহজ এবং ছোট ছোট কাজের জন্য। যেখানে আপনাকে কয়েক মিনিটের বিনিময় মাত্র ১ থেকে ২ টাকা পেমেন্ট করে থাকে।

আরে এই এক দু টাকা করে আপনি কখনো মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সুতরাং, আপনি যদি স্টুডেন্ট লাইফে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার কথা ভাবেন। তাহলে আপনি আমাদের পরবর্তী উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন। যেখানে আমরা দেখিয়েছি কিভাবে স্টুডেন্ট লাইফে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন।

কনটেন্ট তৈরি করে স্টুডেন্ট লাইফে টাকা ইনকাম

আপনার যদি হাতে সময় থাকে এবং ধৈর্য থাকে তাহলে আপনি স্টুডেন্ট লাইফে কন্টেন তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকেই ইউটিউব, ফেসবুক ও বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর জন্য ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে ইনকাম করছে। আমার অনেকেই ব্লগিং করে ইনকাম করছে।

তাই আপনিও চাইলে স্টুডেন্ট লাইফে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসাবে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। তুমি এক্ষেত্রে আপনাকে নিজের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। অনেকে বলবে কপি পেস্ট ভিডিও বানিয়ে বা AI দিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার কথা। দুটি কারণে আপনি কখনো এগুলো করতে যাবেন না।

কারণ, প্রথম কথা হচ্ছে কপি পেস্ট ভিডিও দিয়ে অর্থাৎ অন্যের ভিডিওকে কপি করে নিজেস্ব ভয়েস বা মিউজিক দিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা। অনেকটাই রিক্সের। কারণ এই ধরনের চ্যানেল বা পেইজের কোন প্রকার গ্যারান্টি থাকেনা। ধরুন আপনি এই ধরনের একটি কপি-পেস্ট চ্যানেল তৈরি করলেন এবং অনেক কষ্টের পর সেখান থেকে আপনার ইনকাম শুরু হলো।

কিন্তু যখনই আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করল ঠিক তখনই আপনি কপিরাইট ইস্যুর কারণে সেই চ্যানেল বা পেইজ হারিয়ে ফেললেন। এতে করে আপনার এত দিনের পরিশ্রম ও কষ্ট সব জলে যাবে। এছাড়াও কপি পেস্ট করে ইনকাম করা সম্পূর্ণ হারাম।

কপি পেস্ট করে ইনকাম করা মানেই চুরি করে ইনকাম করা। যেভাবে একজন চোর অন্যের গাড়ি বা অন্যের জিনিস চুরি করে উপরের কিছু পার্স ও রং পরিবর্তন করে নিজের বলে বিক্রি করে ইনকাম করে। ঠিক একইভাবে অন্যের ভিডিও চুরি করে নিজের ভয়েস বা মিউজিক দিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করাও এক ধরনের চুরি।

আবার AI ভিডিও বানিয়ে খুব সহজে রিচ করা গেলেও এই ধরনের কনটেন্টের কোন ভবিষ্যৎ নেই। কারণ এই ধরনের কনটেন্ট শুধুমাত্র এডস থেকে ইনকাম করে থাকে। এরা সহজেই স্পন্সর পায় না বা অন্যান্য উপায়ে চাইলেও ইনকাম করতে পারেনা। অন্যদিকে ইউটিউব ফেসবুকের যেকোন একটি আপডেট এর ফলে অনলাইন থেকে হারিয়ে যেতে পারে এই ধরনের কনটেন্ট বা চ্যানেল।

সুতরাং, আপনার হাতে যদি সময় থাকে এবং ধৈর্য ধরতে পারেন। তাহলে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে ইউনিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েটিং পেশা শুরু করে স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম 

আপনার কাছে যদি একটি কম্পিউটারের অথবা ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি যেকোনো একটি বিষয় নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলে ইনকাম করতে পারবেন।

তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা কনটেন্ট রাইটিং এই ধরনের পেশা গুলো ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে না নেওয়াই ভালো। কারণ এআই এর কারণে বর্তমানে এসব পেশা অনেকটা ডাউন চলছে। সুতরাং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে স্টুডেন্ট লাইফ ইনকাম করতে চান।

তাহলে এমন কিছু ফ্যাশান নির্বাচন করুন যেগুলো সচরাচর AI এর সাহায্যে করা সম্ভব নয়। যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েটিং, অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

অনেকেই বলবে AI এর সাহায্যে সহজেই App বা Website তৈরি করা সম্ভব। তাই এই পেশায় না আসাই ভাল। আমি বলব তারা ভুল ভাবছেন। কেননা, কোডিং এর জ্ঞান না থাকলে বা ভালো সিজন দক্ষতা না থাকলে কখনো AI দিয়ে একটি প্রফেশনাল app বা website তৈরি করা সম্ভব নয়।

এছাড়াও একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এর সবগুলো সেক্টর নিয়ে AI সহজেই কাজ করতে পারেন। কারণ, AI যতই স্মার্ট হোক এর কিছু লিমিট থাকে। অন্যদিকে মানুষের কোন লিমিট নেই। মানুষ যতটা সৃজনশীল ভাবে ভাবতে পারে AI কখনো সেরকম চিন্তা করতে পারেনা। তাই আপনি নির্ভয়ে ডেভলপমেন্ট পেশাটি বেছে নিতে পারেন।

টিউশনি করে ইনকাম

একজন স্টুডেন্ট এর জন্য টিউশনি একটি আদর্শ ইনকামের ব্যবস্থা। টিউশনের ফলে একজন স্টুডেন্ট খুব সহজে পড়ালেখার পাশাপাশি আয় করতে পারে। এছাড়াও টিউশনি থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান তার মেধাকে বিকাশ করে। যা ভবিষ্যতে যেকোন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সাহায্য করে।

তাছাড়াও স্টুডেন্ট অবস্থায় খুব সহজেই টিউশনি পাওয়া যায়। নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যকে পড়িয়ে ইনকাম করার আদর্শ পদ্ধতিকে টিউশনি বলে। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন। তাহলে পড়ালেখার পাশাপাশি অবসর সময় আপনি টিউশনি করে ইনকাম করতে পারেন।

২ থেকে ৩ হাজার টাকার পুঁজিতে ব্যবসা করে ইনকাম

আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করার কথা চিন্তা ভাবনা করে থাকেন। তাহলে আপনি একজন পার্ট টাইম ব্যবসায়ী হতে পারেন। তবে এর জন্য আপনার কাছে দু থেকে তিন হাজার টাকা পুঁজি থাকতে হবে। তাহলে আপনি স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করতে পারবেন।

দু থেকে তিন হাজার টাকা পুঁজির পাশাপাশি। আপনাকে একজন ভালো মন-মানসিকতার মানুষ হতে হবে। কারণ এমন অনেকেই আছেন যারা এক দুই হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করা বা রাস্তার ধারে ফুটপাতে বসে ব্যবসা করাকে লজ্জাজনক মনে করেন। সুতরাং, আপনিও যদি ব্যবসা করাকে লজ্জাজনক মনে করেন তাহলে আপনি এই পয়েন্টটি স্কিপ করে অন্য পয়েন্ট গুলো দেখতে পারেন।

ধরে নিলাম আপনি যেকোন ব্যবসা করতে লজ্জা পান না এবং আপনার কাছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আছে। তাহলে আপনি যে কাজটি করতে পারেন সেটা হচ্ছে। আপনার বাজারের ফলের দোকানদারদের সাথে কথা বলুন। তারা কোথায় থেকে পাইকারিতে ফলফলাদি কিনে আনে।

তাদের সাথে কথা বলে আপনি তাদের বলুন আপনি তাদের ফলের সাথে আপনার এক ঝুড়ি ফল নিয়ে আসবেন। তারা যদি রাজি হয়ে যায় তাহলে আপনি তাদের সাথে আড়তে গিয়ে মার্কেটের সবচেয়ে কম দামে যেসব ফল রয়েছে সেগুলো কিনে আনতে পারেন। এতে করে তাদের সাথে আনার কারণে আপনার গাড়ি ভাড়া কম খরচ হবে।

সাধারণত সিজনাল ফল ফলাদি কম দামে পাওয়া যায় এবং সেগুলো কম দামে হওয়ায় মার্কেটের অনেক চাহিদা থাকে। আর আপনি যদি সিজনাল ফলের ব্যবসা করেন তাহলে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ধরুন আপনি পাইকারিতে প্রতি কেজি পেয়ারা ক্রয় করলেন ৩০ টাকা করে এবং সেগুলো খুচরা বিক্রি করবেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তাহলে প্রতি কেজিতে আপনার লাভ হবে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

আপনি যদি ২০০০ টাকার পেয়ার কিনি আনেন তাহলে প্রতি কেজি ৩০ টাকা করে আপনি মোট ৬৬ কেজি পেয়ারা পাবেন। এখন আপনি যদি প্রতি কেজিতে মিনিমাম ১৫ টাকা করে লাভ করেন। তাহলে আপনার খরচ বাদ দিয়ে আয় হবে ৯৯০ টাকা।

আপনি যদি সম্পূর্ণ পেয়ারা একদিনে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতিদিন ৯৯০ টাকা অর্থাৎ মাসে ২৯,৭০০ আয় করতে পারবেন। আর আপনি যদি এই পেয়ারা দুই দিনে বিক্রি করেন তাহলে আপনার দৈনিক আয় হবে ৪৯৫ টাকা। অর্থাৎ মাসে ১৪,৮৫০ টাকা।

সাধারণত, আড়তে যেকোনো ফলে ১৫ থেকে ২০ টাকা লাভ দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে ফল কেনার পূর্বে আড়তে গিয়ে মার্কেট যাচাই করে দেখতে পারেন। আপনি যদি জনবহুল এলাকায় বা স্থানীয় মার্কেটে এই ব্যবসাটি করতে পারেন তাহলে আপনি একজন স্টুডেন্ট হয়েও মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি প্রত্যন্ত গ্রামের হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার গ্রামের বিভিন্ন মার্কেটে হাটবার গিয়ে গিয়ে এই ব্যবসা করতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে স্থানীয় কারো কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিয়ে একদিনের জন্য একটি ভ্যান ভাড়া করতে পারেন।

তারপর নিজে একা বা কাউকে শেয়ারে নিয়ে এলাকায় বাড়িয়ে বাড়িয়ে গিয়ে আপনি প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে আপনি সিজনাল আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস, কলা ইত্যাদি কম দামে ফল ফলাদি কিনে স্টুডেন্ট লাইফ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শুকনো আইটেম দিয়ে ব্যবসা করে ইনকাম

অনেকের কাছে প্রতিদিন বাজারে গিয়ে ফল ফলাদি কিনে সেগুলো আবার স্থানীয় মার্কেটে বিক্রি করা বিরক্ত কর মনে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে এমন কিছু বিজনেস করতে পারেন যেগুলো প্রতিদিন মার্কেটে গিয়ে কিনতে হবে না এবং পঁচে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার ভয় থাকেনা।

তবে বলে রাখা ভালো। আপনার যেহেতু কম পুঁজি তাই শুরুর দিকে আপনাকে প্রতিদিন না হলেও অন্তত একদিন পরপর হলেও মার্কেটে যেতেই হবে। তাই আপনি এক্ষেত্রে বিরক্ত ফিল না করে আগ্রহ সহকারে কাজ করাটাই শ্রেয়।

এবার আসুন আপনি ২০০০ টাকা দিয়ে অন্য কি ব্যবসা করতে পারেন। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে যদি একটি সাইকেল থাকে তাহলে আপনি স্থানীয় পাইকারি মার্কেট থেকে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খাবার আইটেম যেমন: চকলেট, চিপস, চানাচুর, আচার ইত্যাদি পাইকারিতে কিনে এনে স্থানীয় দোকানদারদের কাছে আবারও পাইকারিতে বিক্রি করতে পারেন।

এতে করে আপনার প্রচুর বিক্রি হবে এবং আপনি প্রতি প্যাকেজে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বর্তমান মার্কেটে ১ টাকা চকলেট এর একটি বয়ামে ২০০ পিছ চকলেট থাকে। যেটি পাইকারিতে বিক্রি হয় ১১০-১২০ টাকা। একজন সেলসম্যান সেটি ১১০ বা ১২০ টাকায় কিনে এনে দোকানদারদের ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় দিয়ে থাকে। এভাবে তারা প্রতি বয়ামে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লাভ করে থাকে।

আপনি চাইলে তাদের মত পাইকারি মার্কেট থেকে বাচ্চাদের আনকমন খাবার আইটেম কিনে এনে সাইকেল দিয়ে দোকানে দোকানে বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি প্রতি বয়ামে ৩০ টাকা লাভ করেন এবং দৈনিক সর্বনিম্ন ২০টি বয়াম বিক্রি করতে পারেন। তাহলে আপনার দৈনিক ইনকাম হবে ২০*৩০=৬০০ টাকা। যা মাস শেষে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় গিয়ে পৌঁছাবে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে ইনকাম

স্টুডেন্ট অবস্থায় আমি নিজেও এই কাজটি করে ইনকাম করেছি। তাই আপনিও চাইলে এই কাজটি করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনার কাছে সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা থাকতে হবে। তাহলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

আমি একটা কোম্পানি থেকে কম দামে কিছু সাবান ও ডিশ লিকুইড কিনে এনেছি। তারপর সেগুলোর সাথে গোসলের মগ, ভীম সাবান এবং মাজনি মিশিয়ে ১০০ টাকা করে প্যাকেজ তৈরি করেছি। যে প্যাকেজগুলো মানুষ দোকান থেকে খুচরা কিনতে গেলে ক্রয় মূল্য হবে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

কিন্তু সেই প্যাকেজগুলো আমি বিক্রি করেছি মাত্র ১০০ টাকায়। এতে করে কম দামে পেয়ে মানুষ আমার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্রয় করতো। প্রতিটি প্যাকেজ তৈরি করতে আমার খরচ হতো ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। আর আমি সেগুলো বিক্রি করতাম ১০০ টাকায়। এতে করে প্রতিটি প্যাকেজে আমার সর্বনিম্ন ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকত।

আমি প্রতিদিন বিকেলবেলায় জনবহুল এলাকায় ফুটপাতে বসে এই ব্যবসাটি করতাম। আমার দৈনিক সর্বনিম্ন ২০ প্যাকেজ থেকে শুরু করে ৫০ প্যাকেজ পর্যন্ত বিক্রি হতো। আর এতে আমার ইনকাম হতো দৈনিক ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। যা মাস শেষ গড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় হতো। আর এভাবে আপনি চাইলেই নিশ্চিন্তে ব্যবসাটি করে স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করে লাভবান হতে পারবেন।

আপনিও যদি আমার মত ব্যবসাটি শুরু করতে চান তাহলে এই নম্বরের যোগাযোগ করুন: 01617028978 আমি আপনাকে বাংলাদেশের যেকোনো ঠিকানায় পণ্যটি পাঠিয়ে দিতে পারবো। আপনি চাইলে নিজ এলাকায় বসে এই ব্যবসাটি করতে পারবেন। কিভাবে ব্যবসাটি শুরু করবেন বা ব্যবসার পুণ্যগুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *