জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন রাজনৈতিক দলের কে কোন পদ পেল?

রাজধানীর বাংলা মোটরের বাণিজ্যিক ভবনের ১৫ তলায় নানা শ্রেণীপেশার মানুষের পদাচরণা। কারণ আগামীকাল শুক্রবার মানিক মিয়া এভিনিউতে আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন রাজনৈতিক দলের শুভযাত্রা। দল গঠনের আগে জানাক কার্যালয় চলছে একের পর এক বৈঠক ও প্রস্তুতিমূলক সভা।

নতুন রাজনৈতিক দলের ১৫১ জনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আহবায়ক এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সদ্য সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন।

এছাড়াও মুখ্য সংগঠক পদে আসতে পারেন হাসনাত আব্দুল ও সারজিস আলম এবং সমন্বয়কারী পদে নাসিরুউদ্দিন পাটোয়ারী। তবে শীর্ষ পদে কে বা কারো থাকবে এ নিয়ে এখনো চলছে বোঝাপড়া।

আরোও পড়ুন: যেখানে কেজি দরে বিক্রি হয় টাকা | Currency | Economy 

এছাড়াও শীর্ষ পদে আরোও যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হল: সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদিব, তাসনিম জারা, আতাউল্লাহ, আব্দুল হান্নান মাসুদ, মনিরা শারমিন, আকরাম হোসাইন।

তবে সম্ভাব্য শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়ায় অসন্তোষ দলের বাকি নেতাদের মধ্যে। অন্যদিকে শীর্ষ পদের জন্য প্রতিযোগিতা থাকলেও সবার ত্যাগের মানসিকতা আছে বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

গণঅভ্যুর্থনের একমাস পর ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষে তরুণ নাগরিকদের সমন্বয়ে ৫৫ সদস্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এরপর বাড়তে থাকে সংগঠনটির সদস্য। গেল সাড়ে পাঁচ মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা বেড়ে ১৮৮ জনে। যোগ দেয় ছাত্রশক্তি অধিকার পরিষদ এবি পার্টি। বাম সংগঠন সহ কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

২৪ শে ডিসেম্বরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতারা সরাসরি যুক্ত হলে। আরোও শক্তিশালী হয়ে ওঠে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যক্রম। সভা সমাবেশ সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায় ছাত্র শিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি।

তবে এবারে চলতি মাসে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এরপর অভ্যর্থুনের কৃতিত্ব নিয়ে বিরোধে জড়ান ছাত্রশিবির ও ছাত্রশক্তির নেতারা। অভিযোগ ওঠে অতীতে শিবির সংশ্লিষ্টতার কারণে নতুন দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হচ্ছে না।

এমন প্রেক্ষাপটে ২১ ফেব্রুয়ারি জানাক থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক শিবির নেতা মোঃ হিজবুল্লাহ। অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক দলে না থাকার ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবিরের দুই সভাপতি আলী হাসান জুনায়েদ ও রাফি সালমান রিফাত। আত্মপ্রকাশ এর শুরুতেই এমন বিভাজন হলে দলের শক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানী ড. স ম আলী রেজা ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *