আমি যেভাবে মোবাইল দিয়ে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারি।

আপনার কাছে যদি একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকে, তাহলে আপনি সেটিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকেই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করছে। আমি যেভাবে মোবাইল দিয়ে এই পরিমাণ অর্থ উপার্জন করি, তা জানতে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

👉ব্লগ বা আর্টিকেল লিখে অনলাইন ইনকাম:

আপনার কাছে যদি একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকে, তাহলে আপনি ব্লগ বা আর্টিকেল লিখে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। তবে এর জন্য লেখালেখির কিছু অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। বিশেষ করে যারা ছাত্র বা শিক্ষার্থী, তাদের জন্য এই কাজটি বেশ উপযোগী।

বর্তমানে ব্লগ বা আর্টিকেলের মাধ্যমে ইনকামের অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্লগিং। আপনি চাইলে ফ্রি বা সামান্য কিছু খরচ করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এর জন্য প্রথমেই আপনাকে Blogger বা WordPress-এ একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর সেই ব্লগে নিয়মিতভাবে আর্টিকেল প্রকাশ করে Google AdSense বা অন্য কোনো বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের অ্যাপ্রুভাল নিয়ে আয় করা সম্ভব।

এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্লগার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরের হয়ে আর্টিকেল লিখেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অর্থাৎ, আপনার হাতে একটি মোবাইল ফোন থাকলেই আপনি ব্লগিং করে কিংবা অন্যের জন্য কনটেন্ট লিখে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন।

👉কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম:

আপনি চাইলে মোবাইল ব্যবহার করে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে অনলাইনে আয় করতে পারেন। তবে এর জন্য প্রথমে আপনাকে কনটেন্ট ক্রিয়েশনের ওপর একটি মৌলিক ধারণা থাকতে হবে। এরপর আপনার নিজস্ব আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে ইউনিক ও আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করে Facebook, Google, YouTube ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

আপনি চাইলে নিজের জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, অথবা অন্যদের হয়েও কনটেন্ট তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেই কনটেন্ট তৈরি করা অনেক সহজ হয়ে গেছে, কারণ এখন বিভিন্ন ধরনের AI টুলস রয়েছে— যেগুলোর সাহায্যে সহজেই প্রফেশনাল মানের কনটেন্ট তৈরি করা যায়।

এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার তৈরি করা কনটেন্ট বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস, যেমন: Shutterstock Contributor, Adobe Stock, Pond5, iStock, ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন এবং সেখান থেকেও নিয়মিত আয় করা সম্ভব।

👉ছোট ছোট মাইক্রো জব করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম

অনেকেই অনলাইনে শর্ট টাইম বা পার্টটাইম হিসেবে আয় করতে চান। তাদের জন্য আদর্শ উপায় হতে পারে মাইক্রো জব সাইটে কাজ করা। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে কোনো রকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই ছোট ছোট কাজ— যেমন ইউটিউব টাস্ক, ফেসবুক টাস্ক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার টাস্ক সম্পন্ন করে সহজেই আয় করা যায়।

তবে মনে রাখতে হবে, এই ধরনের ইনকাম সাধারণত কম পরিমাণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ, আপনি যদি নিয়মিত সময় দিতে পারেন, তাহলে মাসে সর্বোচ্চ ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তাই আপনি যদি কম সময়ে ইনকাম করতে চান বা পার্টটাইম কিছু করতে চান, তাহলে এই ধরনের কাজ আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশ এবং বিদেশে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা এই ধরনের মাইক্রো টাস্ক সরবরাহ করে। যেমন:

  • WorkupJob (পেমেন্ট মেথড: বিকাশ)
  • Microworkers (পেমেন্ট মেথড: Payoneer/skrill)
  • RapidWorkers, Clickworker (পেমেন্ট মেথড: PayPal) ইত্যাদি।

👉ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম:

আপনি যদি অনলাইনে একটি দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ার গড়তে চান অথবা মোটা অঙ্কের আয় করতে আগ্রহী হন, তাহলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন। যেমন:

  • Fiverr
  • Upwork
  • Freelancer.com ইত্যাদি।

এ ধরনের মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী (ডিজাইন, কনটেন্ট লেখা, ভিডিও এডিটিং, ট্রান্সলেশন ইত্যাদি) কাজ করে আয় করা সম্ভব।

👉মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ড্রপশিপিং:

আপনি চাইলে Amazon, ThemeForest, Daraz ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইল থেকেই আয় করতে পারেন। এছাড়াও এমন কিছু ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে ড্রপশিপিং করে অর্থ উপার্জন করা যায়। যেমন:

  • Shopify
  • AliExpress Dropshipping
  • Printful, Spocket ইত্যাদি।

এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি পণ্য ম্যানেজ না করেই বিশ্বজুড়ে বেচাকেনা করে ইনকাম করতে পারেন।

ডিসক্লেইমার: এই আর্টিকেলটি লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও মতামতের ভিত্তিতে তৈরি। এখানে প্রদান করা তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে, কোনো আর্থিক, স্বাস্থ্য বা পেশাগত পরামর্শ হিসেবে গণ্য হবে না। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

Leave a Reply