২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা দেখেছে বিশ্ব যার দখল এখনো কাটেনি। কিন্তু এরই মাধ্যে একের পর এক নতুন ভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্ব। সম্প্রতি নতুন আতঙ্কের নাম hmpv ভাইরাস। যার সম্পর্কে সচেতনতা ঘোষণা করছে অনেকে। তাই আজকের পোস্টে আমরা hmpv ভাইরাসের লক্ষণ বা উপসর্গ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো।
hmpv ভাইরাস কি?
hmpv ভাইরাস বা Human metapneumovirus কি? কিভাবে আসলো ইত্যাদি বিষয়ে নিম্নে বর্ণনা করা হলো। hmpv ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের হাসপাতাল গুলোতে মানুষের ভিড় বেড়েছে এমন তথ্যকে নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। যদিও বর্তমানে ভারতেও hmpv ভাইরাসে আক্রান্তের কথা শুনা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) তথ্য অনুযায়ী ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় hmpv ভাইরাস। আবার কারো কারো মতে অনেক যুগ আগে থেকেই এ ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ঘাবড়াবার কিছু নেই।
কেননা, চীনের সরকার বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা World Health Organization (WHO)। কেউই আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করেনি hmpv ভাইরা সম্পর্কে। এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে রোগটি যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
hmpv ভাইরাসের লক্ষণ সমূহ
সাধারণত, hmpv ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে জ্বর বা ফ্লুর মত দেখা যায়। তবে এছাড়াও আরোও কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে যেমন:
- কাঁশি
- জ্বর
- নাক বন্ধ
- শ্বাসকষ্ট
- চামড়ায় র্যাশ বা দানা দানা
- ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হওয়া ইত্যাদি।
তবে, কারো কারো ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক হতে পারে। এখন পর্যন্ত hmpv ভাইরাস শিশু, বয়স্ক এবং যাদের ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, hmpv ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৩ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
তবে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ঠিক কতদিন ভুগবেন তা নির্ভর করবে অসুখের তীব্রতা ও আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতার উপর। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আরোও জানান, দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক সচেতনতা দিয়ে যেকোনো ধরনের রোগ জীবাণু থেকে নিজেকে সুস্থ রাখা যাবে।